KABYAPOT.COM

নিষ্পাপ শিশু । শচীদুলাল পাল।

Spread the love


 নিষ্পাপ শিশু 

শচীদুলাল পাল।

 গর্ভে ভ্রূণের সৃষ্টি শুক্রাণুর ডিম্বানু নিষিক্তকরণে

এক্স ওয়ায়ে ছেলে এক্স এক্সে মেয়ে, ক্রোমোজমের মিলনে।

 তিল তিল বৃদ্ধি পুষ্টি মায়ের খাদ্য জল অক্সিজেন সম্বলে।

 পৃথিবীতে আগমন অক্সিজেন গ্রহণ ক্রন্দনরোলে।

 হেসে খেলে কেঁদে হয় বড়ো মায়ের সান্নিধ্যে সঙ্গে। 

 পিতামাতার জিন থেকে আসে অবয়ব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে।

শিশু মানে শুরুতে কুমোরের নরম মাটি একতাল,

মানুষ অমানুষ যা কিছু গড়ার শুরু শৈশব কাল।

সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশে শিশুর মন হয় বিকশিত, 

অসুস্থ অসামাজিক অমানবিক পরিবেশে হয় কলুষিত। 

শিশুর হাসিতে মায়ের হাসি তার কান্নায় মায়ের বেদনা 

মা ছাড়া চলেনা,মায়ের সান্নিধ্য ছাড়া ভাল্লাগে না।

প্রথম কথাবলা মায়ের কাছে তাই মাতৃভাষা, 

  মা থেকেই শেখা আদব কায়দা রীতিনীতি ওঠা বসা।

চলতে চলতে পড়া উঠা মাকে কাছে ডাকা কান্নায়,

আধো আধো বুলিতে প্রিয়জনের মন ভরে যায়।

সারাদিন কাটে খেলা খাওয়া দাওয়া ঘুম নানা কাজে।

রাত হলেই  কান্নার আওয়াজে  মায়ের ঘুমের বারোটা বাজে।

ব্যথা বেদনা অসুখে বিসুখে কান্নাটাই  অস্ত্র।

মা ছাড়া বোঝার নাই উপায়ের সাধ্য অন্য যন্ত্র।

আষাঢ়ের মেঘ আর শিশুর কান্না 

বেশীক্ষণ থাকেনা, 

স্তনবৃন্তের স্পর্শে স্তনপান শেষে আর একটু ঘুমানা।

শিশুর হাসির সারল্য শরতের চাঁদের আলো তুল্য,

বড়ো হলে থাকে না আর তাই এই হাসি বড়োই অমূল্য। 

হাসপাতালে শিশুবিক্রির চক্রে পর্দাফাসে মায়ের ক্রন্দন। 

চুক্তিবদ্ধ সারোগেট মায়ের সন্তান দানে যন্ত্রণা আজীবন। 

লালনপালন চার বছর চানক্যনীতি অনুসারে,

আড়াই বছরেই শিশু যায় প্লে স্কুলে শিক্ষার তরে।

আজ আর নেই সেই শৈশব, আদর সোহাগের বড়োই অভাব,

জোর করে ঘুম ভাঙিয়ে ঝটপট দাঁত মেঝে ব্রেকফাস্ট গবাগব। 

ছুটির পর মা- বাবার শাসন 

খেলাধূলা,দুষ্টুমি সব বারন।

গৃহ শিক্ষিকার আগমন

 টিভি কার্টুন মনোরঞ্জন। 

হোমওয়ার্কে মায়ের অনুশাসন, 

গভীর রাতে শয়ন।

মা বাবার আদর সোহাগ খেলার সময় নেই অল্পক্ষণ। 

গরীবের শৈশবে স্কুলছুট বিদ্যাশিক্ষায় বিসর্জন 

 পঙ্গুপিতা শয্যাগত,  মায়ের স্বল্প আয়ে দিনযাপন।

শৈশবে শিশু  কন্যার  পেটের জ্বালায় কাজে যোগদান। 

মালিকের  কুনজর ব্যভিচার আদরের নামে ধর্ষণ। 

কুমারীর অবৈধ প্রণয় থেকে শিশু  ডাস্টবিনে,

ডাস্টবিন থেকে স্থান হয় অনাথ আশ্রমের ক্যাবিনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *