Spread the love


সুবোধ বালিকা (কবিতা ও আত্মজীবনী) 
🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱

****সাথী মন্ডল****
জানো মা;বড় হয়ে আমি কি হতে চাই?
স্যার কাল বলেছে ভেবে যেতে!
মা আমি কি হবো?
বলতে পারো ?
পেটভরা একথালা ভাত অনাথ পথের শিশু,বৃদ্ধকে
কি হলে -খাওয়াতে পারবো?
মা,আমি নিবেদিতা হতে পারবো?
বা মাদার টেরিজা?
আমার কথা কেউ কি শুনবে?
খাবে আমার হাতে?
আমাকে তো কেউ চেনেনা;
মা আমি বড় হয়ে –
কিছু একটা তো হবো!
কি হবো?
আজ ক্লাসে স্যার জানতে চেয়েছিলো সবার আদর্শ কে? আর আমরা তার কি অনুসরণ করি?
আমি বলেছি- বিবেকানন্দ,
আর বলেছি-তার বাণী অনুসরণ করি।
দুটো বাণী বলেছিলাম বলে-
স্যার আমাকে পুরস্কার দেবে বলেছে!
সবাই হাততালিও দিয়েছিলো।
মা- ওটা শুধু তোমার জন্য
তুমিই তো বইমেলা থেকে বিবেকানন্দের বাণী বইটি আমাকে- কিনে দিয়েছিলে।
মা বড় হয়ে কি পেশাদার হবো
তা জানি না;
তবে আর যা হই না হই
তোমার শিক্ষায় ,পড়াশোনা করে –
শুধু মানুষের মতো দেখতে নয়;
দেখো,আমি খাঁটি মানুষ হবো।।
🗼🗼🗼🗼🗼🗼🗼🗼🗼🗼
সংক্ষিপ্ত আত্মকথা:4ঠা অক্টোবর 1994জন্ম । বাসস্থান-কল্যাণী ঘোষপাড়া। পিতা-স্বর্গীয় গোপাল মন্ডল। দীর্ঘ দশবছর খাদ্যনালির সমস্যায় আক্রান্ত। মুখে জল পর্যন্ত ঢোক গিলে খেতে পারিনা। পেটে রাইলস টিউব পাকস্থলীতে সেট করা। লিকুইড খেয়ে কোনমতে জীবন ধারন করি। অসুস্থতা এড়িয়েই কবিতার ব্যাগ ডাইরি হাতে ছুটে যাই দেশ বিদেশে।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও পুরস্কার অর্জন করেছি।কোলকাতাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় /লিটিল ম্যাগাজিনে লেখালিখি করি।
বর্তমানে বিশ্বপ্রকৃতি পত্রিকার সহ সম্পাদিকা। এককথায় বলতে পারি কবিতা আমার এক ধরনের নেশা। আমার বেঁচে থাকার মহাঔষধ।————2016 তে প্রকাশিত -সতীমায়ের পাঁচালী ও রীতিকথামুদ্রক: এন পি প্রসেস,কলকাতা-2018 তে প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ এবং চিরদিনচোখ প্রকাশনী,কোলকাতা
—————
###সবটাই ফার্মাসিস্ট###
****সাথী মন্ডল****
একদিন বিশ্ব ছিলো
আমার ঘরের দেওয়াল;
আর খাট-বালিশ-বিছানাই ছিলো
আমার জমিন।
কিন্তু;ঠিক ততদিনই ছিলো
যতদিন আমি ছিলাম রুগী আর- অপারক কর্মহীন।
শুয়ে শুয়ে দীনতায় ক্রমে
রোগে বেড়েছে চক্রবৃদ্ধি সুদ;
এখন একাকীত্বের ভয়ে
বিছানায় আর পিঠ ঠেকেনা
ভ্রমণে খুঁজে বেড়াই তাই
সাইড এফেক্ট হীন
বেঁচে থাকার
অ্যান্টিবায়োটিক।।
—–
ঘোষপাড়া,কল্যাণী,নদীয়া
পিন নং-741235
ফোন নং-9163878114
***মাকে লেখা কথা***   
*সাথী মন্ডল*
মা তোমার সেই ছোট্ট মেয়েটা
এখন আর ঠান্ডায় কাঁপে না,
হালকা চাঁদরই শীতের পোষাক;
গায়ে আর কিচ্ছু লাগে না।
ঘড়ির এলামেই ঘুম ভেঙে যায়
কেউ তোমার মতো ডাকে না,
উনুনের পাশে বসে ঝিম ধরে মা
জল দেখেও ভয় আর পাইনা।
কনকনে পুকুরের জলে স্নান সেড়ে কাঁপতে কাঁপতে হাত ঘষি
আমার দেহ,মন আর চলে না।
সব কাজ সেরে শুদ্ধ বসনে
যখন ঠাকুর দালানে বসি
তোমাকে খুব মনে পরে মা
খুব মনে পরে ;
কান্না যেন বাঁধ ভেঙে যায়
মনে হয়-
আমার হারিয়ে গেছে সব খুশি,
আর মনে হয়-আমার থেকে অনেক দূরে-
মা’গো,হারিয়ে গেছো তুমি।
–‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Contact for Advertisers, Readers and Writers : email: info@kabyapot.com Whatsapp: 8240042145