শিরোনাম- বৃদ্ধাশ্রম থেকে মায়ের কান্না।
কলমে- সুরজিৎ কোলে।
খোকা তুই কেমন আছিস,তোকে দেখিনি অনেকদিন,
তুইতো জানিস তোকে ছাড়া, দেহটা আমার প্রাণহীন।
খোকা তুই এসেছিলিস, সেই গত বছর শীতে,
ভেবেছিলাম এবার শীতে,আসবি আমায় নিতে।
রোজ রাতে স্বপ্নে দেখি, কেবল তোরই মুখখানি,
আমার খোকা সোনার টুকরো,এখনো আমি জানি।
ভেবেছিলাম ছেলে বউয়ের সংসারেতে,থাকবো একসাথে,
তাইতো আমি গুমরে কাঁদি, আজও প্রতি রাতে।
আজও আমি আশায় থাকি, মা ডাক শুনবো বলে,
খোকা তুই একবার আসিস, তোর একটু সময় হলে।
আঁচল পেতে খোকার কাছে, ভিক্ষা মা যে চায়,
তুই আমার সোনা খোকা,আমার কোলে ফিরে আয়।
মায়ের সাথে খোকা যে তুই,একবারে করে দিলি আড়ি,
মাকে ছেড়ে গেলি তোর নতুন ফ্ল্যাটে,ছাড়লি নিজের বাড়ি।
বৃদ্ধাশ্রমের জানালা দিয়ে,উঁকি দেয় চাঁদের মিষ্টি আলো,
বড্ড মনে পড়ে আজ,খোকার সাথে কাটানো দিনগুলো।
বৃদ্ধাশ্রমের ঘরটা যে আজ,হয়েছে আমার আপন ঘর,
আমার আদরের খোকার কাছে আজ আমি কত পর।
যেদিন তুই চাকরি পেলি, আমার স্বপ্ন করলি সত্যি,
কখনো ভাবিনি আমি ,তুই আমায় বৃদ্ধাশ্রমে করবি ভর্তি।
বৃদ্ধাশ্রমই হলো যে আমার, শেষ জীবনের স্থায়ী ঠিকানা,
জানি খোকার সাথে কোনোদিনও,আমার দেখা হবে না।
যদি খোকা ফিরে আসিস, তবে করিস আমার মুখাগ্নি,
সেদিনও আমি সাদরে গ্রহণ করবো, তোর শেষ প্রনামি।
ঈশ্বরের কাছে কামনা করি ,খোকা সুখে শান্তিতে থাকিস,
তোর সাথে থাকবে সদাই, তোর অভাগা মায়ের আশীষ।
†************************