নিঃশব্দ
বিশ্বজিত মুখার্জ্জী
সবার মধ্যে কিছুটা গলদ আর কিছু থাকে খুঁত…
এক কানাকড়ি মনের মূল্য আবেগটা অচ্ছুৎ!
আবেগের শুরু হৃদয়ের ঘরে মস্তিষ্কের খেলা..
বিষয়বস্তু শব্দ আখর সারবত্তার মেলা।
শ্বাস-প্রশ্বাসে কাব্যের রূপ সজনীর ঘরে ঋণ..
আস্থাভাজন বিশ্বাস করে রাত কেটে আসে দিন।
দিবারাত্রির বিশ্বাস ভারে প্রস্তুতি একা একা…
কাব্যের পথ কল্পনাময় সত্যের রূপরেখা।
আশা নিরাশায় খুব চেনাশোনা অজানার অভিরূপ….
ব্যস্তবাগীশ সংসার মাঝে শব্দরা আজ চুপ।
বিশ্বজিৎ মুখার্জ্জীর “নিঃশব্দ” কবিতার একটি পর্যালোচনা
পর্যালোচনায় : শংকর হালদার শৈলবালা
বিষয়বস্তু ও মূল ধারণা:
“নিঃশব্দ” কবিতাটি মানব মনের গভীরতম অনুভূতি, আবেগ ও বিশ্বাসের উপর আলোকপাত করেছে। কবি সবার মধ্যে কিছু না কিছু অসিদ্ধতা থাকা স্বাভাবিক বলে মনে করেন। কিন্তু এই অসিদ্ধতার মধ্যেও মানুষের মনের মূল্য এবং আবেগের গুরুত্বকে তিনি অস্বীকার করেননি। কবিতাটিতে কবি আবেগকে হৃদয়ের ঘরে জন্ম নেওয়া একটি মূল্যবান উপাদান হিসেবে দেখিয়েছেন।
কবি কাব্যকে শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে তুলনা করেছেন। মানুষ যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি কবির কাছে কাব্যও জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কবিতাটিতে কবি আশা, নিরাশা, বিশ্বাস, ব্যস্ততা ইত্যাদি মানবিক অনুভূতিগুলিকেও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ভাষা ও শৈলী:
কবি সহজ সরল ভাষায় কবিতাটি রচনা করেছেন। কবিতার ভাষা খুবই প্রাঞ্জল এবং সবার বোধগম্য। তিনি খুব কম শব্দ ব্যবহার করেও অনেক কিছু বলতে পেরেছেন। কবিতার শৈলী খুবই সহজ সরল। কোথাও কোথাও চিত্রকল্প ব্যবহার করে কবি তার অনুভূতিগুলিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছেন।
বিশ্লেষণ:
* আবেগের গুরুত্ব: কবি আবেগকে মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দেখেছেন।
* কাব্য ও জীবন: কবি কাব্যকে জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে রেখেছেন।
* মানবিক মূল্য: কবি মানবিক মূল্যবোধ যেমন আশা, নিরাশা, বিশ্বাস ইত্যাদির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
* সরলতা: কবিতার ভাষা ও শৈলী খুবই সরল এবং সবার বোধগম্য।
সারসংক্ষেপ:
“নিঃশব্দ” কবিতাটি মানব জীবনের সার্বজনীন কিছু অনুভূতির একটি সুন্দর চিত্র উপস্থাপন করেছে। কবি সহজ সরল ভাষায় মানুষের মনের গভীরতম অনুভূতিগুলিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতাটি পাঠককে নিজের মনের দিকে তাকিয়ে দেখার জন্য উৎসাহিত করে।