কবিতা :: প্রেম ছিল -আছে-
থাকবে।
কলমে: সুপর্ণা বোস।
কলকাতা, ভারত।
শিয়রে কুন্ডলী করে
পড়ে আছে প্রেম।
কালরাত্রি শেষে স্বপ্ন
ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠবে
আবার।
চোখে জড়ান ভালবাসার
নেশা –
চেতনালুপ্তির পূর্বে স্বপ্ন
হেঁটে যায় অবসাদের
সীমান্তে,
অপেক্ষায় থাকে প্রেম।
বসন্তের দরজায় কড়া নেড়ে
জানান দেয় —
শীত ঘুম শেষে জেগে ওঠার
উৎসব।
জড়ান চোখে ফণা তোলে
কামনা।
চাহিদার আলাপন বেয়ে,
ধেয়ে আসে আলিঙ্গনের
তোড়।
স্বপ্ন মায়ার অন্ধকারে
প্রেমনাগ খেলে বেড়ায়
গুহা মুখ পাশে।
নিশীথ যাপনে অপ্রেম
শ্বাস ফেলে।
পূব তোড়নে প্রেম পথ দেখায়।
—————————————-
কবিতা বিশ্লেষণ: প্রেম ছিল – আছে – থাকবে
সুপর্ণা বোসের এই কবিতাটিতে প্রেমের অনন্ততা, তার উত্থান-পতন, ক্ষণস্থায়ী এবং চিরন্তন দিকগুলি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কবি প্রেমকে একটি চক্রীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন যেখানে প্রেম কখনো ঘুমিয়ে যায় আবার কখনো জেগে ওঠে।
কবিতার মূল বিষয়বস্তু:
* প্রেমের অনন্ততা: কবি প্রেমকে একটি চিরন্তন শক্তি হিসেবে দেখেছেন। কালরাত্রি শেষে স্বপ্ন যেমন জেগে ওঠে, তেমনি প্রেমও কখনো না কখনো জেগে ওঠে।
* প্রেমের উত্থান-পতন: কবি প্রেমের উত্থান-পতনকেও তুলে ধরেছেন। কখনো প্রেম চেতনালুপ্তির দিকে যায় আবার কখনো বসন্তের দরজায় কড়া নেড়ে জাগে।
* প্রেমের বিভিন্ন রূপ: কবি প্রেমের বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরেছেন। কখনো প্রেম কামনার আকার ধারণ করে, আবার কখনো নিশীথ যাপনে অপ্রেমের আকার ধারণ করে।
কবিতা বিশ্লেষণের আরো কিছু দিক:
* চিত্রকল্প: কবি খুবই সুন্দর চিত্রকল্পের সাহায্যে প্রেমের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরেছেন। যেমন, প্রেমকে কুন্ডলী করে পড়ে থাকা সাপের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
* আবেগের প্রকাশ: কবিতাটিতে কবির প্রেমের প্রতি গভীর আবেগ প্রকাশ পেয়েছে।
* সহজ সরল ভাষা: কবিতার ভাষা খুবই সহজ সরল। এতে করে সাধারণ পাঠকও কবিতার তাৎপর্য বুঝতে পারবে।
কবিতার প্রাসঙ্গিকতা:
এই কবিতা আজকের সমাজের জন্যও প্রাসঙ্গিক। কারণ প্রেম মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রেমের উত্থান-পতন, তার বিভিন্ন রূপ, এই সব কিছুই আজকের মানুষের জীবনেও দেখা যায়।
সারসংক্ষেপে, এই কবিতাটি প্রেমের একটি সার্বজনীন চিত্র তুলে ধরেছে। কবি প্রেমকে একটি চক্রীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন যেখানে প্রেম কখনো ঘুমিয়ে যায় আবার কখনো জেগে ওঠে। কবিতার সুন্দর চিত্রকল্প এবং আবেগের প্রকাশ এই কবিতাকে আরো মনোরম করে তুলেছে।