একটা ভালোবাসা দিবস চাই
বটু কৃষ্ণ হালদার
———————
হেমন্তের সুভাষিত মিষ্টি ভোরাইয়ে কোকিলের ডাক
নবান্নের আহ্বান হাতছানি দেয়
জল রং এর আলপনা ছুঁয়েছে মাটির দালান কোঠা
তবুও বাতাসে মিশে যায় বারুদে ঝলসানো আধ পোড়া লাশের গন্ধ।
কয়েকদিন আগেই সোনালী রোদের ঝলমল সকালে জামদানি রঙের শাড়িতে তোমায় দেখেছি জলঙ্গীর তীরেখোলা চুলে আঁচল খানি উড়িয়ে বালিতে রেখেছিলে পা দুখানিসেদিন হতে না জানি কোন অজানার আহ্বান হাতছানি দেয় শূন্য হৃদয়
পূবের সোনালী সূর্যের আলো ঢেউ খেলে যায় দিগন্তময়আ
মার দিনের শুরু হয় তোমার ভাবনা দিয়ে।
দুই চোখের পাতা এক হয় না আর
একে একে ফিরে যায় হেমন্ত
গোলাপের দিন আছড়ে পড়ে মাটিতে
একটা চকলেট দুটি ঠোঁট খেতে খেতে খুব কাছাকাছি
সে সময় আসে না খুব কাছে
তবুও অপেক্ষায় আছি, একটা ভালেন্টাইন্স ডে।
ভাবনায় কেটে যায় বছর
হয়তোবা কোন এক ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে
তুমি আমি খুব কাছাকাছি বসে থাকা
জলঙ্গির তীরে ভাঙ্গা নৌকার পাঠাতনে।
সেই জামদানি শাড়ি পড়ে, দুটি চোখ জুড়ে কাজলের ললুপোতা
দখিনা বাতাসের তালে-তালে খোলা চুল উড়ে যাবে
আঁচল খানি নেমেছে নাভির তলে।
ঘড়ির কাঁটা হিসাব রাখে না তার
একে একে হিসাব নেয় গোলাপের দিন, চকলেট ডে
দুটি কাঁপা কাঁপা ঠোঁট আরো কাছাকাছি
হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্সডে বলে ওঠার আগেই
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এর মত একে অপরের ঠোঁটে চুম্বনে মেতে ওঠে ।
ভালোবাসার দিন আজ সত্যিকারের ভালোবাসা নয়
ভালোবাসার মানুষকে কেনো বিক্রি হতে হয়?
ভালোবাসার দিনে রাস্তার সস্তা হোটেল,পার্ক,জঙ্গলে প্রেমিকাকে শুধু নির্লজ্জ’ র মতো উলঙ্গ হতে হয়?
প্রকৃত ভালোবাসা পার্কে খোলা আকাশের নিচে জড়িয়ে ধরতে হয় না, চুমু খেতে হয় না, সস্তা হোটেলে উলঙ্গ হতে হয় না।
এই ভালোবাসায় জন্ম নেয় কিছু সমাজের চোখে জারজ সন্তান
বড় হয়ে খুঁজে বেড়ায় পিতৃ পরিচয়।
ভালোবাসা মানে দূরে থেকেও অনুভবে তার ছোঁয়া পাওয়া যায়
দুটি চোখ বন্ধ করলে মনে হয় সে আমার পাশে বসে আছে
চাইনা ভালোবাসার নামে উন্মত্ততা নগ্নতা দিবস।
শুধু একটা ভালোবাসা দিবস চাই
যেখানে বেঁচে থাকুক শুধু ভালোবাসা নামক পবিত্র শব্দ টি।।