সাম্যের গান গাও
✒️সুশান্ত পাড়ুই✒️
————————–//——————-
আমি যেন গেয়ে যেতে পারি সাম্যের গান
আলোক শিশুর মত,
ভোরের নতুন সূর্য হয়ে
যেন ঘোচাতে পারি এই অমানিশা, ভোরের পাখি হয়ে
আমি ডেকে দেবো আলোক শিশুকে, আমি ক্লান্ত
ভীষণ ক্লান্ত আমি;
আমার কলম যেন গর্জে ওঠে, ঝলসে ওঠে
বিদ্যুতের মতো কালবৈশাখী ঝড়ের বিকেলে,,,
আমি এতো চিৎকার করে বলতে চাই আমার কথা
— যেন বধিরও শুনতে পায়,,,,,
দেওয়ালে স্পষ্ট করে লিখে রাখতে চাই
আমার না বলা কথাগুলোকে,,,,,,,
—যেন অন্ধও দেখতে পায় স্পষ্ট করে,,,,,,
পাহাড়ের বুকে ঝর্নার ধারা হব আমি,,,,
আমি সবুজ বনানী হয়ে দেব ছায়া।
শ্রাবণের ধারার মতো ঝরে যাবো মৃত্যু মরুতে,
নীল আকাশ হতে
ভোরের শিশুর হাতে দেবো নজরুলের সাম্যের কান্ডারীকে,
বিদ্যাসাগরের বর্নপরিচয় হাতে তুলে দিয়ে বলব—
তুমি সত্যিকারের সুবোধ বালক হও,,,,,,,,,
কৃষ্ণকলি আর কমলাকে আয়নার সামনে
এনে দেবো আমি;
আমি মরতে দেব না নিরুপমাকে, পণপ্রথার
নাগপাশ ছিন্ন করে দেবো আমি,
রবি ঠাকুরের উপেনের মুখে
ভাষা যোগাবো আমি —এই গাছ আমার,,,,,
তুমি চোর বটে আজ।
আমি হবো নতুন দ্বীপ,,, শ্যামল সবুজে ঘেরা,,,
খোলা মাঠ, শান্ত বাতাস,
আমি চেরাপুঞ্জি থেকে এনে দেব রাশি রাশি মেঘ,,,
তার অমলিন ধারায় বুকের জমাট ব্যথা
বিষাদের, হবে অবসান,,,,,,
আমি হব সদ্য ফোটা ফুল।
আগুনের লেলিহান শিখা থেকে, মশাল নিয়ে,
দেব নতুন শিশুকে,,, বিভেদের প্রাচীর ভেঙে
মানুষের অন্তরে এনে দেবো
আল্লা ও ঈশ্বরকে।
কারার ঐ লৌহ কপাট ভাঙার মন্ত্র জোগাব
আজকের কান্ডারিকে,,,,,
ভগবানের ফাঁসি দেবে আমার তরুণ ঈশান,,
ওই শোনো প্রলয়-বিষাণ বাজিয়ে
আসছে সাম্যের গান গাহি—
“ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল।”
—————————-//——-