Spread the love



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

পরিত্যক্ত
🌱 🌱 🌱

করুণ সুরে একনাগাড়ে কেঁদে চলেছে শিশুটি। ডাস্টবিনের মধ্যে পড়ে আছে। একেবারেই সদ্যোজাত। কে বা কারা যে ফেলে দিয়ে গেছে পাগলিটা জানে না। আস্তে করে কোলে তুলে নেয় ছেঁড়াকোঁড়া ময়লা পোশাক পরিহিতা সেই পাগলিটা।
শিশুটি কন্যাসন্তান। বুকে তুলে নিয়ে শিশুটির মুখে হাতে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে সে। যেন নিজের বাচ্চা! এ দৃশ্য মোহিত চোখে তাকিয়ে দেখে কিছু পথচারী।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পাগলি মা তার শিশুর জন্য রোজ এখান থেকে ওখান থেকে একটু-আধটু দোকানের দুধ জোগাড় করে এনে শিশুটিকে খাওয়ায়।
এভাবে পথের পাশে মেয়েটি একটু একটু করে পাগলি মায়ের ছেঁড়া-কাপড় তালপাতা এসব দিয়ে ছাওয়া ভগ্ন গৃহে বেড়ে উঠতে থাকে।
লোকজন পথ দিয়ে যায় আর দেখে। কেউ একটা দশ টাকার নোট, কেউ একটা গোটা পাউরুটি, আবার কেউবা দুটো পাকা কলা এসব দিয়ে যায় মেয়েটির পাগলি মায়ের হাতে।
এক বছর অতিক্রান্ত হলো। এই শিশুটি এখন একটি তিনতলা বাড়ির এয়ার কন্ডিশনার দেওয়া পাথর বসানো ঘরে পরম সুখে হেসেখেলে তার শৈশব কাটাচ্ছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কীভাবে হলো?
সে এক মজার ব্যাপার!
সেদিন পথ দিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি যাচ্ছিল। রাত তখন একটা। শহরের সবাই তখন নিদ্রাসুখে মগ্ন। পাগলি মা একটা বড়ো কাঠের গুঁড়ি ফেলে দেয় ঠেলে পথের ওপর। গাড়িটি থেমে যায়। পাগলি মা কোমর থেকে সিক্স শাটার রিভলবার বার করে। গাড়ির মধ্যে থাকা তিনজন আটক হয়। ওরা চোরা কারবারি করা লোক। আর পাগলি মা?…হা হা হা! পাগলি মা ছিলেন সরকার নিযুক্ত একজন সিআইডি অফিসার। পাগলির বেশে পথের পাশে পড়ে থাকতেন এই তিন অপরাধীকে ধরবার উদ্দেশ্যে। মেয়েটকে কুড়িয়ে নিয়ে নিজের মেয়ের মতো লালন করছিলেন। ওনার কোনো সন্তান ছিল না। তাই সেই পরিত্যক্ত মেয়েটিই এখন তার সন্তান!
(সমাপ্ত)


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *